অর্থনৈতিক উন্নয়ন

নীতিমালা হিসাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন

উন্নয়নের জন্য উদ্দেশ্য

উন্নয়ন অর্থনীতির ক্ষেত্রটি অনুন্নত হওয়ার কারণ এবং মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির হারকে ত্বরান্বিত করতে পারে এমন নীতিগুলির সাথে সম্পর্কিত। যদিও এই দুটি উদ্বেগ একে অপরের সাথে সম্পর্কিত, অনুন্নয়নের কারণগুলি পুরোপুরি না বুঝে (এমন উদাহরণস্বরূপ, অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলির অভিজ্ঞতার একটি বিশ্লেষণ) তরান্বিত হতে পারে এমন নীতিগুলি তৈরি করা সম্ভব।

অনুন্নত উন্নয়ন এবং নীতি ও ক্রিয়াকলাপ, যা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে পারে, উভয়ের কারণ নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করা হয়েছে for মানবিক কারণে উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে যারা উদ্বিগ্ন; তা হ'ল খাদ্য, পোশাক, আশ্রয় এবং পুষ্টির মতো বিষয়গুলির ক্ষেত্রে এই দেশগুলির লোকদের জীবনযাত্রার নির্দিষ্ট নূন্যতম মানের মান অর্জন করতে সহায়তা করার সমস্যাটি। তাদের জন্য মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ হ'ল বৈষয়িক অর্থে দারিদ্র্যের সমস্যার পরিমাপ। অর্থনৈতিক বিকাশের লক্ষ্য হ'ল মাথাপিছু আয়ের নিখুঁত স্তর বাড়িয়ে জীবনযাত্রার মানগত মান উন্নত করা। মাথাপিছু আয় বাড়ানোও সব উন্নয়নশীল দেশের সরকারের নীতি নির্ধারিত লক্ষ্য। নীতিনির্ধারক এবং অর্থনীতিবিদদের জন্য তাদের সরকারের লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করা, সুতরাং, অর্থনৈতিক বিকাশ, বিশেষত নীতিমালার দিকগুলির মধ্যে একটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। অবশেষে, যারা অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে উদ্বিগ্ন তারা কারণ তারা বিশ্বাস করে যে উন্নয়নশীল দেশের লোকেরা এটিই চায় বা তারা বিশ্বাস করে যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কেবলমাত্র অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সন্তোষজনক হারের সাথেই নিশ্চিত হওয়া যায়। এই উদ্দেশ্যগুলি পারস্পরিক একচেটিয়া নয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে অনেক শিল্পোন্নত দেশ মানবিক ও রাজনৈতিক কারণে সম্মিলিতভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে বৈদেশিক সহায়তা প্রসারিত করেছে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে যারা উদ্বিগ্ন তারা তুলনামূলকভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলির মাথাপিছু আয় কম দেখায়; অর্থাত্ উন্নত দেশগুলির মাথাপিছু আয়ের সাথে সম্পর্কিত। তাদের জন্য, এমনকি যদি একটি উন্নয়নশীল দেশ তার মাথাপিছু আয়ের মাত্রা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে তার জীবনযাত্রার মানগত মান উন্নত করতে সক্ষম হয়, তবে এটি আরও বিস্তৃত ব্যবধানের ফলে তৈরি হওয়া অসন্তুষ্টির আরও জটিলতর বিষয়গত সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে নিজের এবং সমৃদ্ধ দেশগুলির মধ্যে আপেক্ষিক স্তর। (এই প্রভাবটি কেবল উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলির আয়ের মাত্রার মধ্যকার বৃহত প্রাথমিক ব্যবধানে বৃদ্ধির পাটিগণিতের অপারেশন থেকে উদ্ভূত হয়। উদাহরণস্বরূপ, মাথাপিছু আয় প্রতি ১০০ ডলার এবং একটি উন্নত দেশে একটি অনুন্নত দেশ মাথাপিছু আয়কে ১,০০০ ডলার হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। তাদের আয়ের প্রাথমিক ব্যবধানটি 900 ডলার। উভয় দেশের আয় বাড়তে দিন 5 শতাংশ। এক বছরের পরে অনুন্নত দেশের আয় হয় 105 ডলার, এবং উন্নত দেশের আয় হয় 0 1,050 The ব্যবধানটি প্রসারিত হয়ে 945 ডলারে উন্নীত হয়েছে। অনুন্নত দেশের আয় 900 এর একই নিরঙ্কুশ ব্যবধান বজায় রাখতে 50 শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে।) যদিও উন্নয়ন অর্থনীতিতে একসময় বিতর্ক হয়েছিল জীবনযাত্রার মান বাড়ানো বা হ্রাস করতে হবে কিনা তা নিয়ে। জীবনযাত্রার মানের ক্ষেত্রে আপেক্ষিক ফাঁকই ছিল নীতিমালার সত্যিকারের ডেসিডেরাম মোটামুটি দ্রুত তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়াতে এবং ফাঁক বন্ধ করতে শুরু করার জন্য উভয়ই পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধির হার।

অসন্তুষ্টির প্রভাব

অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে অসন্তুষ্টির একটি বিষয়গত অনুভূতির প্রশ্নে উদ্বেগ যদিও ম্লান হয়ে গিয়েছে, তবে এটি কখনই পুরোপুরি অদৃশ্য হয়নি। অনুন্নত দেশগুলির অসন্তুষ্টি ও অভিযোগের অনুভূতি কেবল জাতীয় আয়ের পরিমাপযোগ্য পার্থক্য থেকেই নয়, খুব সহজেই সহজে পরিমাপযোগ্য কারণ থেকেও উদ্ভূত হয়েছিল যেমন theপনিবেশিক অতীতের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিক্রিয়া এবং তাদের জাতীয় সম্মান বাড়াতে এবং বিস্তৃতভাবে সমতা অর্জনের জন্য তাদের জটিল চালনাগুলি উন্নত দেশগুলির সাথে সংবেদনশীল। সুতরাং, ইস্পাত কল, জলবিদ্যুৎ বাঁধ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় থেকে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক্স পর্যন্ত প্রতিপত্তি প্রকল্পে তাদের সংস্থাগুলির যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবহার করে তাদের সরকারগুলি খুঁজে পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। আধুনিকীকরণের এই প্রতীকগুলি জাতীয়ভাবে ভাগ করা সন্তুষ্টি এবং গর্বের অবদান রাখতে পারে তবে পরিমাপযোগ্য জাতীয় আয়ের বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে বা নাও পারে। দ্বিতীয়ত, তর্ক করা সম্ভব যে অনেক ক্ষেত্রে পৃথক অনুন্নত দেশগুলির আয়ের অভ্যন্তরীণ ব্যবধান আয়ের আন্তর্জাতিক ফাঁকের চেয়ে অসন্তুষ্টির বিষয়গত স্তরের আরও শক্তিশালী উত্স হতে পারে। দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বল্পতম বেদনাদায়ক উপায়ে অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে, তবে এটি অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে দ্রুত অর্থনৈতিক বিকাশ আরও বিঘ্নিত হওয়ার প্রবণতা এবং জীবনের পূর্ববর্তী পদ্ধতিগুলিতে বড় আকারের সামঞ্জস্য তৈরির প্রয়োজনীয়তা প্রবর্তন করে এবং ফলে বিষয়টিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে হতাশা এবং অসন্তুষ্টি বোধ। অবশেষে, এটি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন যে অসন্তুষ্টির বিষয়গত সমস্যা আয়ের আন্তর্জাতিক ফাঁকের আকারের সাথে একটি সহজ এবং প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বহন করবে। স্পষ্টতই কিছুটা অসন্তুষ্ট কিছু দেশ লাতিন আমেরিকাতে পাওয়া যাবে যেখানে মাথাপিছু আয় সাধারণত এশিয়া ও আফ্রিকার চেয়ে বেশি। একজন সংশয়ী ব্যক্তি এটিকে চিহ্নিত করে এই পুরো পন্থাটি হ্রাস করার বিজ্ঞাপনটিকে অস্বীকার করতে পারে যে উন্নত দেশগুলিও তাদের মাথাপিছু আয়ের উচ্চ ও বর্ধমান স্তরের লোকেরা তাদের জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশের মধ্যে অসন্তুষ্টি এবং হতাশার বিষয়গত সমস্যা সমাধান করতে সক্ষম হয়নি।

উপরোক্ত বিষয়গুলি থেকে দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। প্রথমত, অনুন্নত দেশগুলিতে অসন্তুষ্টির বিষয়গত সমস্যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি আসল এবং গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অর্থনৈতিক নীতি পরিমাপযোগ্য অর্থনৈতিক মাত্রাগুলি নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মূলত যে সমস্যাটি রয়েছে তার সমাধানে কেবল সামান্য ভূমিকা নিতে পারে। দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক নীতির সংকীর্ণ উদ্দেশ্যগুলির জন্য অনুন্নত দেশগুলির নিম্ন মাথাপিছু আয়ের অর্থকে বৈষয়িক অর্থে তাদের দারিদ্র্যের সূচক হিসাবে ব্যাখ্যা করার পিছনে পিছনে পড়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। অনুন্নত দেশগুলিকে তাদের জনগণের জীবনযাত্রার মানগত মান উন্নয়নে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত বলে মানবিক মূল্যবোধের রায়কে স্পষ্টভাবে গ্রহণ করে এটির পক্ষ থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। তবে, যদিও এই মূল্য রায় গ্রহণ না করা হয়, মাথাপিছু আয়ের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক বিকাশের প্রচলিত পরিমাপ এখনও তার কার্যকারিতা বজায় রেখেছে। অনুন্নত দেশগুলির সরকারগুলি অন্যান্য, অচঞ্চল লক্ষ্য অর্জনের ইচ্ছা করতে পারে, তবে তারা যদি তাদের সিদ্ধান্তগুলির অর্থনৈতিক ব্যয়টি জানত তবে তারা আরও পরিষ্কার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এই অর্থনৈতিক ব্যয়ের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য পরিমাপটি মাথাপিছু আয়ের স্তর বাড়ানোর পূর্বেকার সুযোগের শর্তে প্রকাশ করা যেতে পারে।

উন্নয়ন তত্ত্বগুলির একটি সমীক্ষা

অনুন্নত অনুমানের

অনুন্নত দেশগুলি যদি কেবল স্বল্প আয়ের দেশ হয় তবে কেন তাদের অনুন্নত বলা হবে? অনুন্নত শব্দের ব্যবহার প্রকৃতপক্ষে একটি সাধারণ অনুমানের উপর নির্ভর করে যার উপর বিকাশ অর্থনীতির পুরো বিষয় ভিত্তিক। এই অনুমান অনুসারে, উন্নত ও অনুন্নত দেশগুলির মধ্যে মাথাপিছু আয়ের স্তরের বিদ্যমান পার্থক্যগুলি মানুষ ও সমাজের নিয়ন্ত্রণের বাইরে প্রাকৃতিক পরিস্থিতিতে পার্থক্যের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধরূপে গণ্য হতে পারে না। এর অর্থ হ'ল অনুন্নত দেশগুলি অনুন্নত, কারণ কোনও না কোনও উপায়ে তারা এখনও তাদের অর্থনৈতিক বিকাশের জন্য সম্ভাব্যতার পুরোপুরি ব্যবহার করতে সফল হয়নি। এই সম্ভাবনাটি তাদের প্রাকৃতিক সংস্থান বা তাদের মানব সম্পদগুলির অনুন্নত বা "প্রযুক্তিগত ফাঁক" থেকে উদ্ভূত হতে পারে। সাধারণত, এটি বাজার ব্যবস্থার নেটওয়ার্ক এবং সরকারের প্রশাসনিক যন্ত্রপাতি সহ অর্থনৈতিক সংস্থা এবং সংস্থাগুলির অনুন্নত থেকে উদ্ভূত হতে পারে। সাধারণ অনুমান হ'ল এই সাংগঠনিক কাঠামোর বিকাশ একটি অনুন্নত দেশকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বৈদেশিক বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত ও সাংগঠনিক উদ্ভাবনের আকারে কেবলমাত্র তার অভ্যন্তরীণ সম্পদ নয় তার বাহ্যিক অর্থনৈতিক সুযোগগুলিরও পূর্ণ ব্যবহার করতে সক্ষম করবে organiz ।